সোহেব চৌধুরী ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশু সুরক্ষায় ২দিন ব্যাপী বিশেষ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। (২৪অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চরফ্যাশন উপজেলার অফিসার্স আবাসিক শিশু পার্ক মাঠে বিশেষ ক্রিড়া প্রশিক্ষণের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এসময় চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার কিশোর কিশোরী ক্লাবের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৬০জন শিশু ও কিশোর-কিশোরী এ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে।
“প্রতিবন্ধী বলে অবহেলা নয় সকল শিশুর সমান অধিকার চাই, প্রতিবন্ধী সেবায় এগিয়ে বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভূক্তকরণের অঙ্গিকার নিয়ে (২৫ অক্টোবর) শুক্রবার বেলা ১২টায় শেষ হয় বিশেষ এ ক্রিড়া প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতানুষ্ঠান। কোস্ট ট্রাস্টের আইইসিএম প্রজেক্টের আয়োজনে, স্পেসাল অলিম্পিক বাংলাদেশ ভোলা সাব চেপ্টারের প্রশিক্ষণ ও কারিগরী সহযোগীতা এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগীতায়, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,
উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক আহাম্মদ উল্লাহ মিয়া, ইউনিসেফের শিশু সরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ জামিল হাসান, কোস্ট ট্রাস্টের ভোলা জেলা আঞ্চলিক টিম লিডার রাশিদা বেগম, আইইসিএম প্রজেক্টের ভোলা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, চরফ্যাশন পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম শামু। সঞ্জিব ঘোষের সঞ্চালনায় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ হুমায়ুন কবির প্রশিক্ষ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অটিস্টিক স্কুল ভোলা, মোঃ ইউনুস মনিটরিং অফিসার, চরফ্যাশন উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফসহ যুব জলবায়ু নেটওয়ার্ক চরফ্যাশন উপজেলা সভাপতি মনির আসলামী ।
এসময় বক্তারা বলেন, সরকারি বেসরকারি প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্য শিশুদের সমাজের সকল শিশুদের ন্যায় সমান দৃষ্টিতে সামাজিক কর্যক্রমকে আরোও এগিয়ে নিতে সরকার ও সকল জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ রইলো, বক্তারা আরোও বলেন, কোনো ব্যাক্তীর শরিরের কোনোও অংশ স্বাভাবিকভাবে যখন কাজ না করে তখন তাকে প্রতিবন্ধী বলা হয়। হতে পারে সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বা বাকপ্রতিবন্ধী,দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিন্তু তার একটাই পরিচয় সেও আমাদের মতোই মানুষ। কিন্তু আমরা তাদের অবহেলার চোখে দেখি এবং পরিবার ও স্বজনরা মিলে তাকে যত্ন করিনা।
তারা ঘরের এক কোনে পরে থাকে। তাদের আমরা সময় দেইনা। আসলে তাদের প্রতি আমাদের ভালবাসা কম। এ প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা কিশোরদের প্রতি আমাদের সমান দৃষ্টিতে দেখা উচিত এবং তাদেরকে বিনোদন দেওয়া উচিত। তাদের প্রতি কোনোও বৈষম্য দেখানো উচিতনা। এবং প্রতিবন্ধীদের যে অধিকার আছে তা আমাদের বাস্তবায়ন করে তাদেরকে এ সমাজের মূলধায় সম্পৃক্ত করতে হবে। পরে বেলা ১২টায় প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।